কলমে: সুমন্ত বাগ
ফুটবল বিশ্বে যদি কেউ রোম্যান্টিসিজমের সাথে থ্রিল মিশিয়ে থাকে সেটা হল জার্মানরা। জার্মানদের ফুটবল ইতিহাস ঘাঁটলে এইরকম ভুরি ভুরি ম্যাচ উঠে আসবে যেখানে তাঁরা হার না মানার মানসিকতা ও জাত্যভিমান দিয়ে ম্যাচের রং বদলে দিয়েছে। ১৯৫৪এর ফাইনাল হোক কি ১৯৭৪ এর ফাইনাল, ১৯৮২ এর সেমিফাইনাল কিংবা ১৯৯০ এর ফাইনাল। জার্মানি মানেই যেন “বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী।” আপনি সমস্ত টিমের পারফরম্যান্স গ্রাফের ওঠা পড়া দেখতে পাবেন, কিন্তু জার্মানির গ্রাফ চিরকাল একটা নির্দিষ্ট জায়গায় স্হির থাকে। যাদের উত্থান আছে কিন্তু পতন নেই। গোটা ফুটবল বিশ্ব যদি স্কিল দিয়ে দুনিয়া মাতিয়ে রাখে জার্মানির অস্ত্র হল ট্যাকটিস আর নাছোড় মনোভাব। বর্তমানে যে কজন কোচ বিশ্বকে মনমাতানো ট্যাকটিক্যাল ফুটবল উপহার দিয়ে চলেছেন তাঁদের মধ্যে য়ুরগেন ক্লপ অন্যতম। নিজে একজন সেকেন্ড ডিভিশনের ফুটবলার হয়েও দিনের পর দিন দুনিয়ায় তাবড় তাবড় টিমের রাতের ঘুম ছুটিয়ে দিচ্ছে তাঁর প্রেসিং ফুটবল। হয়তো শরীরে জার্মান রক্ত বলেই এমন অকুতোভয় হয়ে টিম পরিচালনা করতে পারেন। আসুন উঁকি দেওয়া যাক ক্লপের ফুটবল জীবন ও দর্শনে। যেখানে কোন তারকার ভিড় নেই, আছে সৎ, পরিশ্রমী ও অদম্য ইচ্ছে শক্তির অধিকারী কিছু মানুষ।
গোড়ার কিছু কথা
জার্মানির স্টুটগার্টের এক নিম্ন মধ্যেবিত্ত পরিবারে ক্লপের জন্ম হয়। এস ভি গ্ল্যাটেন নামক এক ছোট ক্লাব থেকে ফুটবল জীবন শুরু করেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবার। কিন্তু পরিবারের চাপে ছাত্র অবস্থাতেই ক্লপকে সেলসম্যানের চাকরি নিতে হয়। পড়াশোনা, চাকরি, ফুটবল তিনটে জিনিস সমানতালে চালিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ তাঁর মনে হয় মেডিক্যাল স্টুডেন্ট হতে গেলে যে স্মার্টনেস দরকার হয় সেটা তাঁর নেই। তাই মেডিক্যাল সায়েন্সের স্বপ্ন ভুলে ফুটবলকেই নিজের ক্যারিয়ার হিসাবে বেছে নেন। কিন্তু খুব একটা আহামরি ফুটবলার কোনদিনই ছিলেন না ক্লপ। মেইঞ্জ ০৫ নামের এক সেকেন্ড ডিভিশন টিমের, যারা বুন্দেশলিগা ২তে খেলতো, স্ট্রাইকার হিসাবে জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে অবশ্য পজিশন পাল্টে ডিফেন্ডার হয়ে যান। এই পজিশন পাল্টানোর পিছনে ছিল স্পোর্টস সায়েন্সে ডিপ্লোমা। এই কোর্সটি ছিল মাস্টার্সের সমতুল্য। সেখানে নিজের থিসিস বানানোর সময় ইতালিয়ান কোচ আরিগো সাক্কির ফুটবল দর্শন তাঁকে প্রচন্ডভাবে উদ্বুদ্ধ করে। সেখান থেকেই পাল্টে যায় ক্লপের ফুটবল দর্শন। মেইঞ্জের হয়ে ১৯৯০ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ফুটবল খেলেন। ২০০১ এর মাঝ মরসুমে ১২ নম্বরে চলে যায় মেইঞ্জ, সেই সময় ক্লাবের কর্তারা ক্লপের হাতেই কোচের দায়িত্ব তুলে দেন। এখানেই শেষ হয় একজন গড়পড়তা ফুটবলারের ফুটবল জীবন আর জন্ম নেয় প্রখর ফুটবলবুদ্ধি সম্পন্ন এক কোচের যিনি শুধু জার্মান ফুটবলকে নয় পুরো দুনিয়াকে একের পর এক ট্যাকটিসে মাতিয়ে রেখেছেন।
বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও গিগেনপ্রেসিংয়ের জন্ম
২০০৮ সালে মেইঞ্জের সাথে ১৮ বছরের ফুটবল সম্পর্ক শেষ করে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডে কোচিং করাতে আসেন য়ুরগেন ক্লপ। তার আগে অবশ্য মেইঞ্জকে বুন্দেশলিগা ২ থেকে বুন্দেশলিগা ১-এ তুলে নিয়ে এসেছিলেন। বোরুসিয়ায় কোচিং করাতে এসে সবার প্রথমে যে সমস্যার মুখে পড়েন তা হল আর্থিক সমস্যা। সেই সময় ক্লাবের অর্থনৈতিক অবস্থা একদমই ভালো ছিল না। তাই নিজের পছন্দসই প্লেয়ার ক্লাবের কাছে চেয়েও পাননি। যার ফলস্বরূপ প্রথম মরসুমে গড়পড়তা ফুটবল খেলে বোরুসিয়া।
কিন্তু তিনি দমে যাননি। একঝাঁক তরুণ ফুটবলার নিয়ে পরের মরসুমে লড়াই শুরু করেন এক নতুন ফর্মেশনে। আর তার সাথে যুক্ত হয় এক অদ্ভুত ট্যাকটিস যা গিগেনপ্রেসিং নামে বিখ্যাত। বার্সালোনায় প্রায় একইরকম প্রেসিং ফুটবল খেলাতেন গুয়ার্দিওলা। কিন্তু ক্লপের ফুটবলে অ্যাটাক আর ডিফেন্সের মধ্যে দারুণ একটা সামঞ্জস্য ছিল। গুয়ার্দিওলার বার্সা যেখানে পাসের ফুলঝুরিতে বিপক্ষের নাভিশ্বাস তুলে দিত সেখানে ক্লপের বোরুসিয়ার ছিল কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ডায়রেক্ট ফুটবল। হামেলস, সুবোটিচ, পিয়াজ্জেক, গুন্দোগান, পেরিসিচ, লেবানডস্কি, গোটজে, রিউস-রা আজ তারকা হলেও সেদিন কিন্তু মাঠে পা দিয়েছিলেন নবাগত ফুটবলার হিসাবে। এই তরুণ তুর্কিদের নিয়ে ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ পর পর দুবার বোরুসিয়াকে বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন করান ক্লপ। শুধু তাই নয় ২০১২তে বায়ার্নকে ৫-২ গোলে হারিয়ে ডি এফ বি পোকাল জেতে তারা যা ছিল ক্লাবের ইতিহাসের প্রথম ডাবল খেতাব। পর পর দুবার বুন্দেশলিগা জেতার পর ক্লপ একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন চ্যাম্পিয়নস লীগ নিয়ে। ২০১২-১৩ মরসুমে বোরুসিয়া বুন্দেশলিগা রানার্স হয় এবং চ্যম্পিয়ান্স লীগ ফাইনাল খেলে। দুর্ভাগ্যবশত বায়ার্নের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায়। কতটা নোংরা রাজনীতি ছিল এর পিছনে জানেন!!!!!!
২০১২-১৩ এর চ্যাম্পিয়নস লীগে বোরুসিয়া ছিল সিটি, আয়াক্স আর রিয়ালের সাথে একই গ্রুপে। ক্লপের মগজাস্ত্রের কেরামতিতে ড্রয়ের খেলা খেলে গ্রুপ চ্যম্পিয়ান হয়ে পরের রাউন্ডে যায় বোরুসিয়া। কিন্তু সেমিফাইনালে আবার মুখোমুখি হয় মোরিনহো ও ক্রিশ্চিয়ানোর রিয়ালের। ক্রিশ্চিয়ানো, দি মারিয়া, বেঞ্জেমা, ওজিল, হিগুয়েইন,কাকা, আলোন্সো সমৃদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ ছিল সেইবছর টুর্নামেন্টের ফেভারিট টিম। সেই রিয়ালকে ডর্টমুন্ডের ঘরের মাঠ ইদুনা পার্কে ৪-১ গোলে ছিড়েখুঁড়ে খায় বোরুসিয়া। সেদিন যখন মাদ্রিদিস্তারা তুরীয়ানন্দে অ্যাটাকে আসছিল প্রায় নিখুঁতভাবে প্রতিটি অ্যাটাক সামলে কাউন্টার অ্যাটাকে চার চারটি গোল একাই করে যান রবার্ট লেবানডস্কি। অপরদিকে বার্সাকেও ৪-০ তে হারায় গুয়ার্দিওলার বায়ার্ন। যখন দুই জার্মান টিমের মধ্যে ফাইনাল প্রায় অনিবার্য ঠিক তখনই বোরুসিয়ার প্লে- মেকার মারিও গোটজেকে ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব দেয় বায়ার্ন। সময়টা ছিল রিয়ালের সাথে সেকেন্ড লেগ ম্যাচের ঠিক ৩৬ ঘন্টা আগে। গোটজেও রাজি হয়ে যায় এবং পরের মরসুমে বায়ার্ন চলে যাবার জন্য মনোস্হির করে ফেলে। পরের দুটি ম্যাচই বোরুসিয়া হেরে যায়। একটা ছিল রিয়ালের সাথে সেকেন্ড লেগ আর অপরটা বায়ার্নের সাথে ফাইনালটা।
পরের মরসুমটা বোরুসিয়াতে কাটিয়ে অর্থাৎ ২০১৫ সালে ক্লপ পাড়ি জমান লিভারপুলে। শুরু হয় প্রিমিয়ার লীগে এক নতুন অধ্যায়ের। এর মধ্যে অবশ্য দুটো উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে যায়।
১) জার্মানি ২০১৪ সালে মেসির আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চতুর্থবার ওয়ার্ল্ডকাপ জেতে। অতিরিক্ত সময়ে মারিও গোটজে অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় জার্মানির হয়ে গোল করে ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন।
২) ২০১৫ থেকে বেকেনবাওয়ারের সাথে ঝামেলা শুরু হলে ২০১৬ সালে গোটজে আবার ইদুনা পার্কে ফিরে আসেন আর স্বীকার করে নেন যে তিনবছর আগে তার বায়ার্ন মিউনিখে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা মোটেও ঠিক ছিল না।
লিভারপুলঃ ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন
২০১৫ এর অক্টোবরে ক্লপ যখন লিভারপুলে আসেন তখন লিভারপুল প্রায় সার্কাসে পরিণত হয়েছে। দুই বছরে তিনটে কোচ পাল্টাই, জেরার্ডের মত মহাতারকার প্রস্হান, ক্লাব কর্তৃপক্ষের ক্লাবের প্রতি উদাসীনতা, সবমিলিয়ে সে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি। লিভারপুল কিংবদন্তি কেনি ডালগ্লিশের সুপারিশে ক্লপকে অ্যানফিল্ডে নিয়ে আসেন ক্লাব কর্তারা। প্রথম সাংবাদিক সন্মেলনে ক্লপ সাপোর্টারদের কাছে তিনটি বছর সময় চেয়ে নেন। শুধু বলেন, খারাপ সময়ে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। আশাকরি একটা ভালো সময় আপনাদের ফিরিয়ে দিতে পারবো আমরা সবাই মিলে। নিজের কথা রেখেছেন ক্লপ। ফিরিয়ে এনেছেন সেই সোনার সময় যখন অ্যানফিল্ডের টানেল দিয়ে মাঠে পৌঁছানোর সময় বিপক্ষের গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেত। একটা ছোট্ট পরিসংখ্যানে ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যাবে। ক্লপ অ্যানফিল্ডে এই পাঁচ মরসুমে ১৬৩টি ম্যাচ খেলে জিতেছেন ১০২টি ম্যাচ, হেরেছেন ৪৩টি আর ড্র করেছেন ১৮টি। মানে ঘরের মাঠে জিতেছেন প্রায় ৬৩% ম্যাচ।
য়ুরগেন ক্লপ শুধুমাত্র লিভারপুলের কোচ হয়ে থেমে জাননি, তিনি হয়ে উঠেছেন প্লেয়ারদের অভিভাবক, কাছের বন্ধু। লিভারপুলে এসেও তাঁর পুরোনো কাজটি তিনি ভোলেননি। খুঁজে খুঁজে বের করেছেন এমন কিছু রত্নদের যারা আজ বিশ্বফুটবলে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। তিনি যে কষ্টিপাথর, সোনা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কখনো তার ভুল হয়না। সাদিও মানে, মোহামেদ সালাহ, জিনি উইনাল্ডাম, ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড, অ্যান্ডি রবার্টসন, ন্যাবি কেইটা, ভিরজিল ভ্যান ডাইক, অ্যালিসন বেকারদের অখ্যাত সব ক্লাব থেকে তুলে এনেছেন। প্রতিটি ম্যাচের শেষে এদের বুকে জড়িয়ে ধরেন, সে লিভারপুল হারুক কি জিতুক।
ক্লপের আগলে রাখার একটা উদাহরণ দিলেই বুঝতে পারবেন কি পরিমাণ দক্ষ তিনি ম্যান ম্যানেজমেন্টে। অনেক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন এই টিমে তাঁর প্রিয় ফুটবলারের নাম হল টিমের “ফলস নাইন” রবের্তো ফির্মিনো। যেকারণে ফির্মিনোকে তিনি “ববি” বলে সম্মোধন করেন। নাক উঁচু ইংরেজ সাংবাদিকরা প্রায়শই সমালোচনা করেন তার প্রিয় ববির নামে। একদিন এক সাংবাদিক সন্মেলনে ফির্মিনোর গোল না পাওয়া নিয়ে সরাসরি তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ” মনে হচ্ছে আপনারা ববিকে নিয়ে একটু বেশিই চিন্তিত! ববি প্রেসিং করছে, গোলের বল সাজিয়ে দিচ্ছে আর অন্যেরা গোল করে ম্যাচও জেতাচ্ছে। আমি তো বলবো সে একজন প্রকৃত টিমম্যানের মতই কাজ করে চলেছে। তা না করে যদি নিজে গোলে শট নিত তাহলে কি আর এত গোলের সুযোগ তৈরি হত!” এই হচ্ছে ক্লপের ফুটবল দর্শন। তিনি বিশ্বাস করেন স্বাধীনতা দিলে সৃষ্টিশীল ফুটবল আসবেই।
একবার গ্রীষ্মের ছুটিতে লিভারপুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বানিয়ে সব প্লেয়ারদের জুড়ে দিলেন ক্লপ। সবাই তখন যে যার মতো ছুটি কাটাতে ব্যস্ত। গ্রুপের মধ্যে আলোচনা চলতো ফুটবল নিয়ে আর সবাইকে নিজের নিজের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতেন ক্লপ। হঠাৎ একদিন তিনি গ্রুপে প্লেয়ারদের ফিটনেসের খোঁজ খবর শুরু করলেন। প্লেয়াররাও যে যার নিজের মত করে ট্রেডমিলে দৌড়ের ছবি গ্রুপে পোস্ট করতে লাগলো। সেগুলো দেখার পর ক্লপ লিখলেন ” বাহ! বেশ ভালো। কিন্তু তোমাদের কি মনে হয় এটাই সত্যিকার রানিং? ভুল!” তার কিছুদিন পর থেকেই প্লেয়াররা প্রত্যেকে মাঠে দৌড়ানোর ছবি পোস্ট করতে লাগলেন। এটাই য়ুরগেন ক্লপ। তিনি কখনোই মেশিনের পিছনে সময় নষ্ট করেননি। সবসময় খাঁটি ফুটবলটা বের করতে চেয়েছেন প্লেয়ারদের থেকে। যেজন্য সব সময় জুনিয়রদের বলেন, ” যা করছো তাই বারবার করে যাও। চেষ্টা করতে থাকো, করতেই থাকো। সুযোগ হারানো কখনোই ব্যর্থতা নয়। এটা একটা শিক্ষা। সেই শিক্ষাটা গ্রহণ করে আবারো চেষ্টা করো।”
এখনো পর্যন্ত তাঁর অধীনে লিভারপুল পাঁচ মরসুমে মাত্র চারটি ট্রফি জিতেছে, কিন্তু যে ফুটবল উপহার দিয়ে চলেছে তা এক কথায় অনবদ্য। জানিনা এই স্বপ্নের শেষ কোথায় হবে বা কিভাবে হবে! তবু এটা মেনে নিতেই হবে যে আবারো অ্যানফিল্ডে বিল শ্যাঙ্কলি বা বব প্রেসলির সময় ফিরে এসেছে।
শুভ জন্মদিন য়ুরগেন ক্লপ। এইভাবে দ্য নরমাল ওয়ান হয়েই থেকে যেয়ো।