কলমে : সুমন্ত বাগ
সুভাষ গুপ্তে ও তার ক্যারোল
এক স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন ক্যারোল। বাচ্চাদের পড়িয়ে তাঁর দিন কাটতো। লাস্যময়ী মোটেই তাঁকে বলা চলে না, কিন্তু আর পাঁচজন ক্যারিবিয়ান মেয়ের থেকে অবশ্যই তিনি সুন্দরী। একদিন এক পার্টিতে আলাপ হয় ছোটখাটো চেহারার এক ভারতীয় যুবকের সাথে। সালটা ছিল ১৯৫৩। যুবকটি ভারতীয় ক্রিকেটার,ক্যারোলের দেশে গিয়েছিলেন দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলতে। প্রথম আলাপেই ভালো লেগে যায় তাঁর ক্যারোলকে। ক্যারোলেরও নিশ্চিত মনে ধরে ছিল যুবকটিকে। নাহলে তাঁর প্রেমের প্রস্তাবে ক্যারোল সাড়াই বা দেবেন কেন? এইভাবে শুরু হয় ক্যারোলের প্রেমপর্ব। সিরিজ শেষ করে যুবকটি দেশে ফিরলেন ক্যারোলকে মন দিয়ে। কিন্তু কোথায় ভারতবর্ষ আর কোথায় সুদূর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ। দেখা হওয়া দূরে থাক ফোনে কথা পর্যন্ত হত কালেভদ্রে। কারণ তখন এস টি ডি ফোনের খরচ ছিল প্রচুর। তাই তাঁদের প্রেমপর্ব এগিয়ে যাচ্ছিল চিঠির ওপর ভর করে।
সাল ১৯৫৭। সেই ভারতীয় ক্রিকেটার তখন হয়ে উঠেছেন ব্যাটসম্যানদের ত্রাস। এক ডাকে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব তখন চেনেন সুভাষ গুপ্তেকে। হঠাৎ একটি চিঠিতে তিনি ক্যারোলকে দিলেন বিয়ের প্রস্তাব। ক্যারিবিয়ান মেয়েটি কিন্তু বাবার অনুমতি নিয়েই পাড়ি জমালেন ভারতে। উদ্দেশ্য বিয়ে করে সংসার পাতবেন। কিন্তু তিনি তো ভারতীয় রীতিনীতি কিছুই জানেন না। তাই দশদিন কাটালেন এদেশে এসে। তারপর চারহাত এক হল ভারতীয় রীতি অনুযায়ী। কন্যাদান করেছিলেন সুভাষ গুপ্তের বন্ধু মাধব আপ্তে। এইভাবে তাঁদের চারবছরের প্রেম পূর্ণতা পেয়েছিল।
সুভাষ গুপ্তের অভিষেক
যখন কোন প্রতিভার বিকাশ ঘটা শুরু হয় তখন দেশ, কাল, সীমানা, প্রতিকূলতা কোন কিছুই তাকে আটকে রাখতে পারেনা। প্রতিভা তার আপন খেয়ালে প্রকৃতির আর্শীবাদ নিয়ে বিকশিত হতে থাকে। ১৯৫১ সালে টেস্ট অভিষেকের পর সুভাষ গুপ্তের প্রথম বিদেশ সফর ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টিমভর্তি ব্যাটসম্যান আর গুটিকয়েক বোলার নিয়ে সেবার ক্যারিবিয়ান সফরে গিয়েছিল ভারতীয় টিম। কি সব নাম সেই টিমের ব্যাটসম্যানদের, বিজয় হাজারে, পলি উমরিগড়, পঙ্কজ রায়, মাধব আপ্তে, বিজয় মঞ্জরেকর, বিনু মানকড়। আর সেই টিমের একমাত্র স্বীকৃত স্পিনারের নাম ছিল সুভাষ গুপ্তে।
সুভাষ গুপ্তের কিছু পরিসংখ্যান
সুভাষ গুপ্তের প্রথম বিদেশ সফর ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিসে। খোলা পিচ, পেসারদের স্বর্গরাজ্য আর সামনে বিখ্যাত ক্রিকেটের ” থ্রি ডাব্লিউ “, এই নিয়ে শুরু গুপ্তে তথা ভারতের ক্যারিবিয়ান সফর। ওইরকম ভয়ংকর পরিস্থিতিতেও ভারতীয় ক্রিকেটার রা দারুণ লড়াই করেছিলেন। ৫ টেস্টের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র একটিই টেস্ট জিতেছিল। পলি উমরিগড় (৫৬০ রান), মাধব আপ্তে (৪৬০ রান), পঙ্কজ রায়(৩৮৩ রান) মিলে সামলে ছিলেন ভারতীয় ব্যাটিংকে। কিন্তু উইকস, ওয়ালকট আর ওরেলের সামনে ভারতীয় বোলিংয়ের একমাত্র নক্ষত্রের নাম ছিল সুভাষ গুপ্তে। ওই রকম পেস সহায়ক পিচে ৫ টেস্টে নিয়েছিলেন ২৭ উইকেট। সাবাইনা পার্কের মত কুখ্যাত পেস ও বাউন্সভরা উইকেটেও গুপ্তের ঝুলিতে ছিল এক ইনিংসে ৫ উইকেট। এই সিরিজের পারফর্মেন্স গুপ্তেকে ভারতীয় টিমে অপরিহার্য করে তোলে।
ভারতীয় টিমে সেই সময় গুপ্তে আর মানকড়ের এক অসাধারণ স্পিনজুটি তৈরি হয়। গুপ্তের লেগব্রেক আর মানকড়ের বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনের সামনে পড়ে হাবুডুবু খেতেন ব্যাটসম্যানরা। ১৯৫৪-৫৫ তে পাকিস্তান সফর করে ভারতীয় দল। পাঁচ টেস্টের সিরিজ ড্র করে ফেরে ভারত। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর নাম হল সুভাষ গুপ্তে। ২১ টি উইকেট নেন গুপ্তে, সেরা বোলিং ফিগার ৫/১৮।
ঠিক পরের বছর নিউজিল্যান্ড ভারতে আসে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে। জীবনের সেরা ফর্মে তখন সুভাষ গুপ্তে। ৫টেস্টের সিরিজ ভারত জেতে ২-০ তে আর তাঁর নামের পাশে ৩৪টি উইকেট,সেরা ফিগার ৭/১২৮। আরো চমকপ্রদ তথ্য হল সেই সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর নাম হল বিনু মানকড় যার উইকেটের সংখ্যা হল ১২টি। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় সেইসময় কি পরিমাণ আধিপত্য রেখে ক্রিকেট খেলে গেছেন সুভাষ গুপ্তে।
একটা ক্যাচ মিস আর তার সাথে আন্তরজাতিক ক্রিকেটে ১০ উইকেটের রেকর্ড টাও
কিন্তু আপনারা কি জানেন লেকারের রেকর্ডটি তিন বছর পরেই অর্থাৎ ১৯৫৯ সালে ভেঙে যেত । ১৯৫৯-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারত সফরে আসে ৫ জন দুর্ধর্ষ ক্রিকেটার নিয়ে। স্যার গ্যারি সোবার্স, রোহন কানহাই, ল্যান্স গিবস আর মূর্তিমান দুই বিভীষিকা ওয়েলেসলি হল এবং রয় গিলক্রিস্ট। ৫ টেস্টের সিরিজ ভারত হেরে যায় ৩-০ তে। ওই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলা হয় কানপুরে। ক্যারিবিয়ানদের প্রথম ইনিংসে লেগস্পিন আর গুগলিতে নাকানিচোবানি খাইয়ে ছাড়েন গুপ্তে। ১০২ রান দিয়ে একাই ৯ উইকেট নিয়েছিলেন সেই ইনিংসে। গুপ্তের বলে ল্যান্স গিবসের একটা সহজ ক্যাচ উইকেট কিপার নরেন তামানে ফেলে দেন। পরে গিবসকে বোল্ড করেন বসন্ত রাঞ্জানে। সেদিন যদি নরেন তামানে ক্যাচটি না ফেলতেন কুম্বলের রেকর্ডের ৪০ বছর আগে রেকর্ডটি ভারতীয়দের ঝুলিতে চলে আসতো।
অনিল কুম্বলের এক ইনিংসে দশ উইকেট নেওয়ার ঘটনা ভারতে সর্বজনবিদিত। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলাতে কুম্বলে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র দুজনের এই রেকর্ড আছে। একজন কুম্বলে আর অন্যজন জিম লেকার। লেকার ১৯৫৬ এর অ্যাসেজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিয়েছিলেন দশ উইকেট।
সুভাষ গুপ্তের ১০ উইকেট
সেইসময় ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটেও সুভাষ গুপ্তে মানেই ম্যাজিক। বোম্বের হয়ে খেলতেন। তাঁর লিস্ট এ ক্রিকেটের রেকর্ডও চমকে দেওয়ার মত, ১১৫টি ম্যাচ খেলে তিনি নিয়েছিলেন ৫৩২টি উইকেট। সেরা বোলিং ১০/৭৮। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন, এক ইনিংসে ৭৮ রান দিয়ে ১০ উইকেট। ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের একটি টিম ভারতে এসেছিল, নাম ছিল ভাওয়ালপুর একাদশ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাব্রোন স্টেডিয়ামে গুপ্তে প্রথম ভারতীয় হিসাবে এক ইনিংসে দশ উইকেট নেন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে। আবার ১৯৫৫ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য এক ইনিংসে দশ উইকেট নেন। তবে এবার আর ভারতের মাটিতে নয়, রিস্টন ক্লাবের হয়ে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে (১০/১০১)। রিস্টন ক্লাব দাবি করে সেই বছর ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অ্যাক্রিংটনের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে দুবার হ্যাট্রিক করেন গুপ্তে। বোলিং ফিগার ছিল ৮/১৯, মাত্র ৭.৩ ওভারে।
সুভাষ গুপ্তে ও শেন ওয়ার্ন
আসলে ভাগ্য খুবই নিষ্ঠুর জিনিস। কাকে কখন তুলে দেবে আর কাকে কখন কোথায় ডুবিয়ে দেবে তা স্ময়ং বিধাতাই জানেন। নাহলে মাত্র ৩৬ টা টেস্ট খেলে ভারতের সর্বকালের সেরা লেগস্পিনারকে কখনও থেমে যেতে হয়! যে দেশের জন্য তিনি মাঠে ঘামরক্ত ঝরিয়েছেন সেই দেশের বোর্ডের রাজনীতির শিকার হতে হয়! কি এমন ছিল গুপ্তের বোলিংয়ে যা নিয়ে তিনি বছরের পর বছর ম্যাজিক দেখিয়েছেন! স্যার গ্যারি সোবার্সের একটা উক্তিতে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে, “হালে অনেকেই হয়তো ‘গ্রেট’ লেগস্পিনার হিসেবে শ্যেন ওয়ার্নের নাম বলবেন। আমার মতে, ওয়ার্ন অবশ্যই ভালো, কিন্তু সবদিক দিয়ে বিবেচনা করলে ও এক নম্বরে থাকবে না। আসলে ওয়ার্নের লেগস্পিন দেখে অনেকেই মুগ্ধ হয়েছেন। কিন্তু লেগ-স্পিনারদের সেরা অস্ত্র গুগলির কথা তুললেই, সুভাষ গুপ্তের থেকে পিছিয়ে পড়তে বাধ্য ওয়ার্ন।”
আজ যখন লেগস্পিনাররা বল করতে আসেন তখন বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডার দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় রান আটকানোর জন্য। আর সুভাষ গুপ্তে বল করতেন সিলি পয়েন্ট, সিলি মিডঅফ, দুটো স্লিপ, লেগ গালি আর শর্টলেগ দাঁড় করিয়ে, এতটাই কন্ট্রোল ছিল তাঁর লাইন আর লেন্থের উপর। তাও কাদের বল করেছেন…… স্যার গ্যারি সোবার্স, রোহন কানহাই, এভার্টন উইকস, ক্লাইড ওয়ালকট, নিল হার্ভে, হানিফ মহম্মদ, কেন ব্যারিংটন-দের মত ব্যাটসম্যানদের। এরপরেও সুভাষ গুপ্তে ৩৬ টেস্টে নিয়েছিলেন ১৪৯ উইকেট, অ্যাভারেজ ২৯.৫৫ আর ইকনমি ২.৩৪।
একটা ভুল বোঝাবুঝি আর …
১৯৬১সালে টেস্টসিরিজ খেলতে ভারতে আসে ইংরেজরা। তৃতীয় টেস্টটি অনুষ্ঠিত হয় দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলাতে। পুরো ভারতীয় দল উঠেছিল দিল্লির ইম্পিরিয়াল হোটেলে। তৃতীয় দিনের খেলা বৃষ্টিতে বন্ধ ছিল। এতটাই খারাপ আবহাওয়া ছিল যে, কোন ক্রিকেটার হোটেল ছেড়ে বাইরে বেরোতে পারেননি। হঠাৎ ইম্পিরিয়াল হোটেলের এক মহিলা রিসেপশনিস্ট ভারতীয় টিম ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানায় যে, রুম নম্বর ৭ থেকে তাকে কেউ ফোন করে এবং ডিউটির শেষে রুমে ড্রিংক করতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। রুম নম্বর ৭ ছিল কৃপাল সিং আর সুভাষ গুপ্তের। যখন তাঁদের দুজনের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য ঘটনাটি জানতে চাওয়া হয় তখন দুজনেই ব্যাপারটি নাকচ করে দেন।
সুভাষ গুপ্তের শাস্তি ও ভারতীয় ক্রিকেটের রাজনীতি
ভারতীয় বোর্ড অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপারটি পর্যালোচনা করে এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে কৃপাল সিং আর সুভাষ গুপ্তেকে শোকজ করে। যার ফলস্বরূপ দুজনকেই পরের দুটি টেস্টে সাসপেন্ড করে দেয়। তখন বোর্ড প্রেসিডেন্ট ছিলেন এম.চিদম্বরম। শোকজের উওর দেওয়ার জন্য দুজনকেই চেন্নাইতে ডেকে পাঠানো হয়। নরি কন্ট্রাক্টর ছিলেন টিমের ক্যাপ্টেন। তিনি ম্যানেজারকে জানান মহিলাটি যে সময়ের কথা বলছেন সেই সময় গুপ্তে নিজের ঘরেই ছিলনা। তাঁর ঘরে বসে তাস খেলছিলো আরো চারজনের সাথে। কিন্তু শোকজ আর সাসপেনশন বহালই থাকে। চেন্নাইয়ের সভায় কৃপাল সিং স্বীকার করেন ফোনটি তিনিই করেছিলেন। সুভাষ গুপ্তেকে প্রশ্ন করা হয় কেন তিনি কৃপাল সিংকে ফোন করতে বাধা দিলেন না? গুপ্তের উত্তর ছিল, প্রথমত আমি জানতাম না ফোনের ব্যাপারে, আর দ্বিতীয়ত আমি কেন বারণ করবো তাকে, সে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ।
এই উত্তর পছন্দ হয়নি চিদম্বরমের। তিনি সাসপেনশন আরো বাড়িয়ে দেন। অর্থাৎ পরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও বাদ দেওয়া হয় এই দুই ক্রিকেটারকে। অপমানে ও ঘৃণায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন সুভাষ গুপ্তে এবং ভারতবর্ষ থেকে পাট চুকিয়ে চিরকালের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলে যান তাঁর ক্যারোলের কাছে। এইভাবেই শেষ হয়ে যায় ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ লেগস্পিনারের ক্রিকেটজীবন। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সুভাষ গুপ্তের জায়গায় কে দলে এসেছিল জানেন, চিদম্বরমের রাজ্যের ক্রিকেটার এরাপল্লী প্রসন্ন।
আর সেইভাবে কোনদিনই ভারতে ফিরে আসেননি গুপ্তে দুই তিনবার ছাড়া। শেষবার ভারতে এসেছিলেন তাঁর বোলিং পার্টনার বিনু মানকড়কে দেখতে কারণ বিনু তখন শেষ শয্যায় ছিলেন। অনেক অভিমান, অনেক দুঃখ সারাজীবন বয়ে বেড়িয়েছেন। তবুও কোথাও কখনো একবিন্দু প্রকাশ পায়নি তাঁর মুখ থেকে।
সুভাষ গুপ্তের মৃত্যু ও তার সাথে শেষ হয়ে যায় এক অধ্যায়
সুভাষ গুপ্তের মৃত্যুটিও ভারী অদ্ভুত সময়ে। 2002 সালে ভারতীয় দল ক্যারিবিয়ান সফরে যায়। জুন মাসের ২ তারিখ ছিল সিরিজের শেষ ম্যাচ। ভারতীয় ক্যাপ্টেন সৌরভ গাঙ্গুলির সাথে একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় সুভাষ গুপ্তের, বেশ কিছুক্ষণ গল্পও করেন তিনি সৌরভের সাথে। হঠাৎ ৩১শে মে হার্ট অ্যাটাক হয় সুভাষ গুপ্তের এবং তিনি মারা যান। এইভাবে শেষ হয়ে যায় ক্যারোলের ভালোবাসার গল্প। ক্যারোল তাঁর স্মৃতিচারণের সময় বলেছিলেন, সারাজীবন ভারতবর্ষ ও ভারতীয় ক্রিকেটকে প্রচন্ডভাবে মিস করতেন সুভাষ । এবার হয়তো ওর আত্মা ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সাথে নিজের দেশে ফিরে যাবে।